GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ
শুক্রবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে একটি দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন লক্ষ্য করা গেলেও, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে গত 14 থেকে 15 মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সাধারণত, যখন একটি প্রবণতা শেষ হয়, তখন আমরা সর্বনিম্ন লেভেল থেকে একটি তীক্ষ্ণ রিবাউন্ড দেখতে পাই, যা দ্রুত শর্ট পজিশন ক্লোজ করার ইঙ্গিত দেয়। এটি নির্দেশ করে যে বিনিয়োগকারী এবং ট্রেডাররা ভবিষ্যতে আরও একই ধরনের মুভমেন্টের উপর আস্থা রাখছেন না। তবে, বর্তমানে এমন কোনো রিবাউন্ডের সংকেত নেই, যা নির্দেশ করে যে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে এবং লক্ষ্যমাত্রা থাকতে পারে 1.1800 এর লেভেল—যা নিয়ে আমরা গত বছর ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছি। প্রতিটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পেয়ারের মূল্যের এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা বাড়ছে।
এটি মনে রাখা জরুরি যে মূল্য 1.1800 লেভেলে পৌঁছালেই সেটি পাউন্ডের দরপতনের সমাপ্তি নির্দেশ করতে নাও পারে। পাউন্ডের মূল্য গত 16 বছর ধরে হ্রাস পাচ্ছে, এবং এখনো এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে এই বৈশ্বিক প্রবণতা পরিবর্তিত হতে চলেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, গত দুই বছরে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন হয়েছে এবং এখন আরেকটি বছরে এই পেয়ারের দরপতন হতে পারে। যৌক্তিকভাবে, লক্ষ্যমাত্রাগুলো 1.0354 এর পূর্ববর্তী নিম্নলেভেলের নিচে নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌলিক বিষয়গুলোও এই প্রবণতাকে সমর্থন যোগাচ্ছে: যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনগুলো ডলারকে সমর্থন করেছে, যেখানে যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী ছিল। সুতরাং, আমরা আশা করি যে অদূর ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্য অন্তত 1.2109 লেভেলে ফিরে আসতে পারে।
শুক্রবার, মূল্য 1.2207–1.2237 রেঞ্জ থেকে তিনবার রিবাউন্ড করেছে, যেখানে 1.2207 এর লেভেল কিজুন-সেন লাইনকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই তিনটি সিগন্যাল মূলত একে অপরের অনুরূপ ছিল, যা ট্রেডারদের উল্লেখযোগ্য মুনাফা করতে বাধা দিয়েছে। তবে, সোমবার ধীরে ধীরে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
COT রিপোর্ট
সর্বশেষ কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাউন্ড স্টার্লিং নিয়ে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন, যা কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের প্রতিনিধিত্ব করে, প্রায়শই একে অপরকে অতিক্রম করে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে। বর্তমানে, এই লাইনগুলো কাছাকাছি রয়েছে, যা লং এবং শর্ট পজিশনের প্রায় সমান সংখ্যা নির্দেশ করে।
সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, মূল্য প্রথমে 1.3154 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যায় এবং পরবর্তীতে আরও নিচে নেমে ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ফেলে। এই ব্রেক এই ইঙ্গিত দেয় যে, দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বশেষ COT রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপ 1,600 বাই কন্ট্রাক্ট এবং 100 সেল কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে, যার ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 1,500 কন্ট্রাক্টের বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এটি পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে না।
মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ড ক্রয়ের জন্য কোনো যৌক্তিকতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরিবর্তে, পাউন্ড নতুন করে বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর ফলে, নেট পজিশনের সংখ্যা আরও হ্রাস পেতে পারে, যা পাউন্ডের চাহিদার আরও হ্রাস নির্দেশ করে।
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, সামগ্রিকভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, যেখানে সাম্প্রতিক কারেকটিভ মুভমেন্টগুলো পূর্ববর্তী মুভমেন্টগুলোর মতোই দ্রুত শেষ হয়েছে। বর্তমানে মাঝে মাঝে টেকনিক্যাল কারেকশনের প্রয়োজন ছাড়া ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো মৌলিক কারণ নেই। প্রতি সপ্তাহেই নিয়মিতভাবে এই ধরনের পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে—এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল কারেকশন হচ্ছে এবং তারপরে শক্তিশালী দরপতন হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনও $1.1800 লেভেলের দিকে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি।
২০ জানুয়ারির জন্য নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো তুলে ধরা হলো: 1.2052, 1.2109, 1.2237–1.2255, 1.2349, 1.2429–1.2445, 1.2511, 1.2605–1.2620, 1.2691–1.2701, এবং 1.2796–1.2816। এছাড়াও, সেনকৌ স্প্যান বি (1.2336) এবং কিজুন-সেন (1.2218) লাইনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল প্রদান করতে পারে। মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ২০ পিপসের মুভমেন্ট প্রদর্শন পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস অর্ডার সেট করা উচিত, যাতে ভুল সিগন্যালের কারণে সম্ভাব্য লোকসান থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত।
সোমবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। একমাত্র ইভেন্ট যা এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে তা হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ। মার্কেটে এই ইভেন্টের সম্ভাব্য প্রভাব এখনও অনিশ্চিত, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে ডলার আবার শক্তিশালী হতে পারে। অন্ততপক্ষে, বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ড এবং ইউরোর আরও দরপতনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
চার্টের সূচকসমূহের বর্ণনা:
- মূল্যের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হচ্ছে গাঢ় লাল লাইন, যার কাছাকাছি মুভমেন্ট শেষ হতে পারে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে না।
- কিজুন-সেন এবং সেনকৌ স্প্যান বি লাইন হল ইচিমোকু সূচকের লাইন, যা 4-ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার চার্টে সরানো হয়েছে। এগুলো শক্তিশালী লাইন।
- এক্সট্রিম লেভেল হল হালকা লাল লাইন যেখান থেকে মূল্য আগে বাউন্স করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে।
- হলুদ লাইন হল ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্য কোন প্রযুক্তিগত নিদর্শন।
- COT চার্টে সূচক 1 প্রতিটি শ্রেণীর ট্রেডারদের নেট পজিশনের আকার প্রতিফলিত করে।